আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের

টস পক্ষে যায়নি টাইগারদের। তাতে বিচলিত হননি মাশরাফিরা। ব্যাট হাতে সৌম্য-সাকিবরা দারুণ মানসিক দৃঢ়তা দেখান। আবার ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো শুরু করে। বোলিংয়ে টেম্পার হারালেই হয়তো ম্যাচ বেরিয়ে যেতো টাইগারদের হাত থেকে। কিন্তু বোলাররা দারুণ বোলিং করে আটকে দেয় প্রোটিয়াদের।  ফলে ২১ রানের দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ শুরু করল টাইগাররা।

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান তোলে। টাইগারদের ইনিংসের শুরুতে ইনজুরি থেকে ফেরা বাঁ-হাতি ওপেনার তামিম ১৬ রানে ফিরে যান। সৌম্য খেলেন ৩০ বলে ৪২ রানের দারুণ এক ইনিংস। তারা দু’জন ফিরে গেলে সামান্য চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

কিন্তু সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম ১৪২ রানের জুটি গড়ে বড় রানের পথে রচনা করেন। সাকিব খেলেন ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। এরপর মুশফিক ৭৮ রান করে ফিরে যান। শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ-মোসাদ্দেকের দারুণ ব্যাটিংয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তোলেন টাইগাররা। মাহমুদুল্লাহ ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন। মোসাদ্দেক করেন ২০ বলে ২৬ রান।

জবাব দিতে নেমে টাইগারদের মতো প্রোটিয়ারাও ভালো শুরু করেন। তাদের প্রথম উইকেট পড়ে ৪৯ রানে। দারুণ খেলা ডি কক ২৩ বলে রান আউট হন। দলের ১০২ রানে ফেরেন মার্করাম। তিনি খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। এভাবেই নিয়মিত রানও তুলেছে আবার উইকেটও হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

তিন উইকেটে তারা দুইশ’ রান পার করে। এরপরই পথ হারায় ডেভিড মিলাররা। দলীয় ২৫২ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। একে একে ফিরে যান ডেভিড মিলান, ভ্যান ডার ডুসন এবং ফেলোকাও। তারা সেট হয়ে ফিফটির আগে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রানে থামে তারা। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস।

টাইগারদের হয়ে এ ম্যাচে দারুণ বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ১০ ওভারে ৬৭ রানে নেন ৩ উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন তিনি। এছাড়া পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন নেন ২ উইকেট। সাকিব এবং মিরাজ একটি করে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন।